প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১:৫২ : অপরাহ্ণ
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে ৪৪টি জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২-১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে ১ ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (ভরা পেটে) খাওয়ানো হবে। প্রথম ধাপে ওষুধ সেবনকারী শিশুর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ।
নাজমুল ইসলাম বলেন, স্কুলগামী, স্কুলবহির্ভূত, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পথশিশু, কর্মজীবী শিশুসহ সব শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনামূল্যে সেবন করানো এবারের লক্ষ্য। একইসঙ্গে কৃমির পুনঃসংক্রমণ রোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হবে। শিশুদের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়ার ফলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। এজন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হবে।
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য মতে, কৃমির সংক্রমণ বয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি। ০ থেকে ৪ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ, ৫-১৪ বছর ৩২ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর ১৫ শতাংশ, ২৫-৪৪ বছর ৭ শতাংশ, ৪৫-৫৪ বছর ৫ শতাংশ এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৪ শতাংশ। এ জরিপের ওপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশুদের মধ্যে কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।