চট্টগ্রাম, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ , ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ সড়ক: ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:১৬ : অপরাহ্ণ

‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ’ তথ্যটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়াদুর কাদের। তিনি বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দিক থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তার টেবিলে প্রশ্নোত্তর উপস্থাপিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধে তা বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি সত্য নয়। ২০২০ সালে সবশেষে ওয়ার্ল্ড হেলথ র‌্যাংকিং প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে দেখা যায়, ১৮৩ দেশের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহারে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম (মৃত্যুহার এক লাখে ১৬ দশমিক ৭৪ জন)।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ৭২, ৮২, ৮৫ ও ৯০তম। অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরই আমাদের অবস্থান।

সড়কের উন্নয়ন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সড়কে ৬টি বাঁক সোজা করা হয়েছে। মহাসড়কগুলোতে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে সার্ভিস পেন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০২২ সালের শুরু থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তা নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারী যানবাহনের ড্রাইভারদের লাইসেন্স নবায়নের সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক রয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। গাড়ি চালকদের বিশ্রামে চারটি বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে।

Print Friendly and PDF