প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৩৮ : পূর্বাহ্ণ
বিচার বিভাগকে সংস্কারের পরিকল্পনা করছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। এ নিয়ে একটি প্রস্তাবনাও দিয়েছে দেশটির বিচারমন্ত্রী। এই সংস্কার হলে সর্বোচ্চ আদালত থেকেও কোনো রায় হলে তা সহজেই পরিবর্তন করতে পারার ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের কাছে। তবে সরকারের এমন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বিচার বিভাগকে সংস্কারের ডানপন্থী জোট সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তেল আবিবে ৮০ হাজারের বেশি ইসরায়েলি বিক্ষোভ করেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সংসদের ক্ষমতা বেড়ে যাবে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের রায়ও পরিবর্তন করতে পারবে।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহু সরকারের প্রস্তাবিত পরিবর্তনকে গণতান্ত্রিক শাসনের ওপর আক্রমণ বলে বর্ণনা করেছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফাতেও বিক্ষোভ হয়েছে। তেল আবিবের প্রধান সড়ক আয়লোন হাইওয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
বিরোধীরা বলছেন, নেতানিয়াহু সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বিচারিক স্বাধীনতাকে পঙ্গু করে দিবে, দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে, সংখ্যালঘুদের অধিকার নষ্ট করবে ও ইসরায়েলের আদালত বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
বিবিসি বলছে, এই সংস্কারের বিরোধিতা করছে ইসরায়েলের প্রধান বিচারপতি এসথার হায়াত ও দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল।
তেল আবিবে বিবিসির সংবাদ দাতা সামান্থা গ্রানভিলে জানান, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পতাকা, হিব্রু ভাষায় পোস্টার ও নেতানিয়াহুর মুখের ওপর X (ক্রস চিহ্ন) নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। সেখানে একদল তরুণীর মুখে লাল রঙের হাতের ছাপ দেখা গেছে এবং তারা সরকারকে এটাই বোঝাতে চান, তারা আর চুপ থাকবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বিক্ষোভকারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা-মা অগণতান্ত্রিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে বসবাস করার জন্য (ইসরায়েলে) অভিবাসন করেছিলেন। তারা স্বৈরাচারী শাসন থেকে এখানে স্বাধীনভাবে বাঁচতে এসেছিলেন। তাই (এখানকার স্বাধীনতা) ধ্বংস হতে দেখাটা হৃদয় বিদারক। ’
গত ডিসেম্বরে জোট সরকার গঠন করে নেতানিয়াহু। এরপর থেকে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এটি। এমনকি বিরোধী দলগুলো গণতন্ত্র রক্ষার্থে ও পরিকল্পিত বিচারিক সংস্কারের প্রতিবাদে ইসরায়েলিদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।