প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:১১ : অপরাহ্ণ
চুয়াডাঙ্গায় সূর্যের আলো গায়ে পড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬ টায় ছিল ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৪ ভাগ। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে, সেইসঙ্গে একটি বড় শৈত্য প্রবাহ আসছে জেলায়।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়ার এমন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান।
তিনি জানান, এখন এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে আরও একটি বড় ধরনের শৈত্য প্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন থেকে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। শীতের তীব্রতা বাড়বে।
পৌষের শেষ সময়ে প্রকৃতি জানান দিয়ে যাচ্ছে তীব্র শীতের। পরিষ্কার থাকছে আকাশ। সকালেই সূর্য আর রোদের দেখা মিলছে। তবে রাতের চেয়ে দিনের বেলা তাপমাত্রা আরও কমে যাচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডা আর হাড়কাঁপানো শীতে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জবুথবু অবস্থা।
জেলার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের বয়োজ্যেষ্ঠ চায়ের দোকানদার বাবলু মিয়া বলেন, ‘সকালে ৭টায় দোকান খুলতে হয়। কনকনে ঠাণ্ডা। শীতে হাতের আঙ্গুলগুলো সোজা হচ্ছে না। চাও বানাতে পারছি না।’
সকালেই বাইসাইকেল নিয়ে কাজে বের হয়েছেন কাঠ মিস্ত্রী খোকন। তিনি বলেন, ‘সাইকেলের হ্যান্ডল ধরতে খুব কষ্ট হচ্ছে ঠাণ্ডার কারণে। কাঠের কাজ হাতেই সব করতে হয়। এতো শীত, সকালে হাত চলে না।’
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ৯ জানুয়ারি ১০ ডিগ্রি, ৮ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ৭ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ৬ জানুয়ারি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বনিম্ন।