প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ২:২৬ : অপরাহ্ণ
সারা দেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দেশের আটটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গেলো এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে মারা গেছে ১৫ শিশু ও নবজাতক। এছাড়া বৃদ্ধরাও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সমান তালে।
হাড়কাঁপানো এমন শীতে শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেসপিরেটরী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস. এম. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, এ সময় ঠান্ডাজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের শঙ্কায় থাকেন শিশু ও বয়স্করা। কেননা তারা ঠান্ডা পানি ও কনকনে বাতাসের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না তারা। তাই তাদের প্রতি বিশেষ যত্নের পরামর্শ এই চিকিৎসকের।
প্রথমত, শিশুদের যথাসম্ভব উষ্ণ পরিবেশে রাখতে হবে। সকালবেলা নিতে হবে রোদে। এর ফলে ভিটামিন ডি পাবার পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক থাকবে।
দ্বিতীয়ত, শিশুর অ্যালার্জি সমস্যা থাকলে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। অর্থাৎ কোনোভাবেই যাতে ঠান্ডা না লাগে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজন হলে ডাক্তার দেখানোরও পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. এস. এম. লুৎফর রহমান।
তৃতীয়ত, প্রত্যেক শিশুকে প্রয়োজনীয় সব টিকা দিতে হবে সময়মতো। কারণ সঠিক সময়ে টিকা দিলে তা আজীবন সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক।
এছাড়া শীতকালে শিশুদের খাবারেও মনোযোগী হতে হবে। কুসুম গরম পানিসহ ভিটামিন ‘সি’যুক্ত ফল খাওয়ানোর পরামর্শ চিকিৎসকের।
বয়স্কদের সুস্থতায় অধ্যাপক ডা. এস. এম. লুৎফর রহমানের পরামর্শ হলো, সবসময় পরিমিত শীতবস্ত্র পরতে হবে। বিশেষ করে বুক,কান ও পা ঢেকে রাখতে হবে গরম কাপড়ে। হাত-পায়ে মোজা পরার পাশাপাশি, ঘুমানোর সময় কানে কাপড় বা মাফলার জড়িয়ে রাখতে হবে।
অধ্যাপক লুৎফর বলছেন, শীতে বয়স্কদের বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে। কারণ গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব পূরণে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নিয়মিত গরম দুধ ও স্যুপের শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়ক।