চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতাদের জামিন স্থগিতে মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২:০৪ : অপরাহ্ণ

নাশকতার মামলায় ৬ মাসের জামিন প্রাপ্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিতে আইন মন্ত্রণালয় বা অন্য কোন মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আদালতের কাজে আইনমন্ত্রণালয় তো না-ই, কোনো মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করছে না। আদালত যদি মনে করে জামিন দেয়া যাবে, তাহলে দিয়েছে। আদালত যদি মনে করে দেয়া যাবে না, দেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা অহরহ হয়ে থাকে, নিম্ন আদালত জামিন দেয়নি, উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছে, আবার এমনও হয়, নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছে, উচ্চ আদালত তা আটকিয়ে দিয়েছেন। এটা নতুন কিছু না বাংলাদেশে। এটা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তারা হয়তো জাতীয়পার্টি- বিএনপি আমল দেখেননি বা দেখলেও সেট তারা বলতে চাচ্ছেন না।

এর আগে বুধবার সকালে জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজকেই এর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জামিন শুনানি দুই সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে দুপুরে শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের ৬ মাসের জামিন দেন।

যদিও জামিন চেয়ে এর আগে বিচারিক আদালতে চারবার আবেদন করেছিলেন বিএনপির এই দুই নেতা। চারবারই তা খারিজ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।

পরদিন ৮ ডিসেম্বর রাতে নিজ নিজ বাসা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয় নিয়ে আসে। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের পল্টন কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক দেখিয়ে আদালতে হাজির করে।

এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারপর থেকে কারাগারে রয়েছেন এ দুই নেতা।

Print Friendly and PDF