চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে পুলিশ : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১:৫১ : অপরাহ্ণ

জনবান্ধব ও চৌকস পুলিশ বাহিনী গড়ার পদক্ষেপ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, সরকার পুলিশের আধুনিকায়নের পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশে বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। জামায়াত-শিবির-বিএনপির লোকেরা প্রকাশ্যে পুলিশকে হত্যা করেছে। সে সময় ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তারপরও পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। অতীতের মতো আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।

এবারের বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন।

২০২২ সালে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৫ জন পুলিশ ও ২ র‌্যাব সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২৫ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ দেয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫০ জনের হাতে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ তুলে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী পুলিশের ১১৫ সদস্যের এই পদক পরিয়ে দেন।

Print Friendly and PDF