চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুটবলের মহাতারকা পেলের বিদায়

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৪৫ : পূর্বাহ্ণ

চলে গেলেন ফুটবলের মহাতারকা পেলে। ৮২ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১টায় আন্তার্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পেলে। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা তো ছিলই, কয়েক বছর ধরে এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল কোলন ক্যানসার। এই মরণব্যাধির সঙ্গে লড়েও কেউ কেউ জিতে যান। পেলেও লড়েছেন কয়েক বছর। কিন্তু বয়সটা যে তার পক্ষে ছিল না। শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন ফুটবলের এই মহারথি।

পুরো নাম এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। তবে বিশ্বের বুকে লাখো কোটি ফুটবলপ্রেমীর কাছে তিনি পেলে নামেই পরিচিত। তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ফুটবল বিশ্বের রেকর্ড এক হাজার ২৮১টি গোল, যা আজও ভাঙতে পারেনি কেউ।

১৯৫৮ সালে যখন ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয় করে, তখন পেলের বয়স ছিল কেবল ১৭ বছর। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও বিশ্বকাপ জয় করেন তিনি। তিনি ২০০০ সালে ফিফার সেঞ্চুরির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে। তার একুশ বছরের ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৩৬৩টি ম্যাচে ১ হাজার ২৮১টি গোল করেছেন। এর মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে ৯১ ম্যাচে করেন ৭৭টি গোল।

পেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ১ ডিসেম্বর। বছর দুয়েক ধরেই তো এমন নিত্য হাসপাতালে যাওয়া-আসা তার। ভক্তরা চিন্তিত হন, আবার সেই দুশ্চিন্তা পেলেই দূর করে দেন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে টুইট করে বা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে। এভাবেই চলছিল। এবারও ভক্ত-সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছিলেন, প্রথমে তার কন্যা, পরে তিনি নিজেই। কেলি নাসিমেন্তো বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে জানিয়েছিলেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে পেলেকে, অন্য কিছু ভাবার দরকার নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত পেলের শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ তথ্য দিয়ে গেছেন কেলি নাসিমেন্তো।

এবারের কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচে দলটির সমর্থকরা গ্যালারি থেকে পোস্টার হাতে পেলেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য শুভকামনা জানান। পেলের বিশাল জার্সি নিয়ে মাঠে আসেন তারা। এছাড়া কাতার বিশ্বকাপের কর্তৃপক্ষও শুভকামনা জানায় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর সুস্থ হয়ে ফিরলেন না।

Print Friendly and PDF