প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ৫:১৪ : অপরাহ্ণ
পদ্মা সেতুর পর বাঙালির আরেক সাফল্য মেট্রোরেল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আরেকটি ধাপে এগিয়ে নিতে পারলাম। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের উদ্বোধনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক আজ বাংলাদেশের, তথা ঢাকার মানুষকে আমরা দিতে পারলাম, সংযোজিত করতে পারলাম। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। কিছুক্ষণ আগে সেটি উদ্বোধন করেছি। তা হচ্ছে মেট্রোরেল। যার কিতাবি নাম হচ্ছে এমআরটি-৬। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের (জনগণ) সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেজন্য জনগণের প্রতি, ভোটারদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষমতায় এসে আমরা দেশের উন্নয়নের কাজ শুরু করি। এই মেট্রোরেল যখন আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি তখনই এসেছিল আরেকটি আঘাত। হলি আর্টিসানের সেই সন্ত্রাসী হামলা। সেই হামলায় এই মেট্রোরেলের পরামর্শক, জাপানের নাগরিক ৭ জন মারা যান। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞা জানাই। আমি সমবেদনা জানাই তাদের সবার পরিবারের প্রতি। তারপরও আমি আন্তরিকতা জানাই জাপানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী (শনিজো আবে), যিনিও ঘাতকের বুলেটের আঘাতে কিছুদিন আগে শাহাদৎবরণ করেছিলেন। কারণ ওই ঘটনার পরও এই কাজ তিনি বন্ধ করে দেননি। কিছুদিন বন্ধ থাকার পরও তার নির্দেশে আবার মেট্রোরেল নির্মাণে কাজ শুরু হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশন তাদের নামফলক আমরা রাখব। উত্তরা দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল প্রদর্শনী কেন্দ্রে আমরা তাদের স্মৃতিস্মারক স্থাপন করেছি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশের মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। তার আগে তিনি উদ্বোধনীস্থলে পৌঁছান। বেলা ১১টার পর উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) জনসম্মুখে উন্মোচন করেন। তার সঙ্গে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রতিরূপ উন্মোচনের পর মোনাজাত করা হয়।
সুধী সমাবেশের প্রথমে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।