চট্টগ্রাম, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ , ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর মান্দায় হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি

প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ২:০৩ : অপরাহ্ণ

মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহের দুটো’  হাতি। সেই হাতি দুটো’র পিঠে বসা মাহুত। মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। এরপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর মান্দা  উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় এ দৃশ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এসব মাহুতের। গত কয়েকদিন আগে সতীহাটের বেশ কিছু  দোকানে হঠাৎ একটি হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদাররা হাতি দু’টোর শুঁড়ে ১০/২০ টাকা করে গুঁজে দিচ্ছেন।

টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওইসব দোকানদারা বলেন, ‘টাকা না দিলে যায় না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় ভাঙচুর করে। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিই।’ এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।

হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুতরা বলেন, আপাতত আশেপাশে কোন মেলা খেলা নেই। আমরা বেকার হয়ে বসে আছি। হাতিগুলো খাবার যোগান দিতে আমাদের অনেক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে।আর সেকারণে বাধ্য হয়ে হাতি এবং নিজেদের  খাবারের জন্য আমরা রাস্তায় বেরিয়েছি। ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়।’ কারো কাছ থেকে জোর করে কোন টাকা পয়সা নেয়া হচ্ছে না।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে সড়কে চাঁদাবাজি করা উচিত নয়। চাঁদাবাজির বিষয়টি জানার পর তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরেও যদি তারা পূনরায় হাট-বাজার অথবা সড়কে চাঁদাবাজি করে তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Print Friendly and PDF