প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ৩:৩৯ : অপরাহ্ণ
বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ডিএমপির অনুমতি অনুমতি প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে বিএনপি একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। বড় সমাবেশ সবসময় খোলা মাঠে হয়। সারাদেশে তারা খোলা মাঠে সমাবেশ করেছে। অথচ ঢাকায় নয়াপল্টনের মতো ব্যস্ত, ছোট ও জনবহুল স্থানে সমাবেশ করতে চাচ্ছে। সেখানে সর্বোচ্চ ৩০-৫০ হাজার মানুষ ধরবে, অথচ তারা বলছে ৮-১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটাবে। সেটা কোনোভাবেই সম্ভব না এবং সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেবে না।
তিনি আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে ছাত্রলীগের ৮ তারিখের সম্মেলন এগিয়ে ৬ তারিখে আনা হয়েছে। আর এখন তারা ভিন্ন কথা বলছে। আসলে বিএনপির উদ্দেশ্য গণ্ডগোল লাগানো। কিন্তু সরকার তো সারাদেশ থেকে অগ্নি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে রাজধানীতে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অনুমতি দিতে পারে না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে বিএনপি যদি চূড়ান্তভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে নয়াপল্টনে অবস্থান নেয় তাহলে সরকার নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করবে।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিটি ওয়ার্ডে পাহারায় থাকবে। নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। দেশে যেন কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য আমরা সতর্ক থাকবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ।