প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ৪:৩৩ : অপরাহ্ণ
সরকারের ব্যয় সংকোচ নীতির কারণে পদ্মা ও মেঘনা নামে নতুন দুই বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার)।
রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিকার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিকার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উঠলে প্রস্তাব দুটি চলতি বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে এ বছর হচ্ছে না পদ্মা-মেঘনা বিভাগ। তবে বাকি এজেন্ডাগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। এ নিয়ে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।
জানা যায়, নতুন বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে নতুন নতুন অনেক দপ্তর লাগবে। এজন্য কোটি-কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে এ সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহত্তর ফরিদপুরের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ বিভাগ এবং কুমিল্লা ও আশপাশের জেলাগুলো নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ বাস্তবায়ন করতে এ দুই প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছিল।
বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা— ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা বিভাগ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর— এই ছয়টি জেলা মিলে হবে মেঘনা বিভাগ।
নতুন বিভাগ গঠন বা স্থাপনের প্রস্তাব সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে অনুমোদন হতে হয়। সেখানে কমিটি অনুমোদন দিলে আলোর মুখ দেখবে প্রস্তাবিত দুই বিভাগ।
নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের মধ্যে চার বছর আগে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত চলবে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ তদন্ত স্থগিত চেয়ে করা শহীদুল আলমের আপিল খারিজ করে দেন। এসময় আপিল বিভাগ বলেন ফৌজদারি অপরাধ বাতিল হওয়ার সুযোগ নেই। তদন্তে যা আসবে সেভাবেই চার্জশিট দেবে পুলিশ।
মামলাটির বৈধতা প্রশ্নে ২০২১সালে হাইকোর্ট তদন্ত কাজের ওপর স্থগিতাদেশ বাতিল করেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ৩ ও ৪ অগাস্ট জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেইসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।
এরপর ৫ অগাস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার নামে মামলা হয়।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল।
পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের মার্চে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।