প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ৩:৩৯ : অপরাহ্ণ
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। ফুটবল ঈশ্বর আরমান্দো ডিয়াগো ম্যারাডোনা বিশ্বের শত কোটি ফুটবল ভক্তের চোখের আড়ালে চলে গেলেও তার নৈপুণ্যে ভরপুর জাদুকরি স্বপ্নিল ফুটবল স্মৃতি হৃদয়ে পরিপূর্ণ থাকবে কোটি কোটি ফুটবল দর্শকের। সেই ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর)।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল, এ ৭ বছর তিনি ফুটবলের আলো ছড়িয়েছেন ইতালির দল নাপোলিতে। ইতালি ও নাপোলির মানুষও তাকে চিরকাল ভালো বেসেছে নিজের ঘরের ছেলের মতো।
বিশ্ব ফুটবলের ঈশ্বর, উজ্জ্বল নক্ষত্র ম্যারাডোনার মৃত্যুর দুটি বছর কেটে গেলো। ৬০ বছর বয়সে পৃথিবীর কাউকে কিছু না বলে ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ওপারে চলে গেলেও তার আলোকিত উজ্জ্বল ক্যারিয়ার বিশ্ব ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়জুড়ে বেঁচে থাকবে চিরকাল। সুপারস্টার ম্যারাডোনার নৈপুণ্যে নিজ দেশ আর্জেন্টিনাকে এনে দেন বিশ্বকাপ ট্রফিসহ অগণিত সাফল্য। তাই দেশের মানুষের হৃদয়ে তার স্থান সবার ওপরে।
১৯৮৪ সালে ২৪ বছর বয়সের দুর্বার ক্যারিয়ারের টগবগে ফুটবল তারকা দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা যোগ দেন দক্ষিণ ইতালির সাদামাটা দল নাপোলিতে। ক্লাব ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র ম্যারাডোনা, তার একক নৈপুণ্যে অখ্যাত নাপোলি ঘরে তোলেন ইউরোপ দ্বিতীয় সেরা ট্রফি ইউরোপা লিগ এবং সেই সঙ্গে দুই দুইবার হাত উঁচিয়ে ধরেন ইতালীয় ‘সিরি আ’ ট্রফিও। বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে নাপোলি ক্লাবের নাম।
নাপোলি ছিল ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। তিনি নাপোলিকে উজাড় করে দিয়েছেন, সেই সঙ্গে নাপোলিও তাকে চিরদিন মনে রাখার জন্য তার গায়ে জড়ানো ১০ নাম্বার জার্সি কাউকে কখনও দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা স্টেডিয়াম’।
ফুটবল পাগল দেশ ইতালির শহর নেপলসে বাস করে প্রায় দুই লাখ মানুষ। ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার প্রতি তাদেরও ভালোবাসা ও সমবেদনার কমতি নেই। পৃথিবী ছেড়ে ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা আজ দুই বছর হলো ওপারে পাড়ি জমালেও যতদিন ফুটবল বেঁচে থাকবে, সেই সঙ্গে তার উজ্জ্বলতম ক্যারিয়ারের ঐশ্বরিক ফুটবলের জন্য ইতিহাসে সেরাদের সেরা হয়ে থাকবেন তিনি শতাব্দীর পর শতাব্দী। কারণ কীর্তিমানের সৃষ্টির কোনো মৃত্যু নেই।
এদিকে চলছে কাতার বিশ্বকাপ। ম্যারাডোনাকে ছাড়া ফুটবল বিশ্বের এটি প্রথম বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আমেজে হয়তো অনেকেই ভুলে যাবে ম্যারাডোনার চলে যাওয়ার দিনটিকে। তবে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কাছে দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।