চট্টগ্রাম, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব পুরুষ দিবস যেসব বিষয় মনে করিয়ে দেয়

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৩৩ : পূর্বাহ্ণ

পুরুষ পিতা, প্রিয়জন ও সন্তান। আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস। সারা বিশ্বে ১৯ নভেম্বর দিনটি পালন করা হয়।‌ সমাজের প্রতি পুরুষদের এই দায়িত্বের কথাই মনে করিয়ে দেয় দিনটি। পাশাপাশি পুরুষদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি পালন করা হয়।

নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও প্রতিদিনকার জীবনে অনেক চাপ সামলাতে হয়। অফিসে কাজের চাপ ছাড়াও বাড়ির নানা দায়িত্ব, ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ, লোনের বোঝা সবকিছু নিয়েই তাদের ভাবতে হয় রোজ। সারাদিন এসব চাপ সামলেও তারা হাসিমুখে থাকেন। আনন্দে রাখেন পরিবারের‌ অন্যদেরও। আমাদের চারপাশের এমন পুরুষরাই সত্যিকারের পুরুষ। পাশাপাশি তারা আমাদের রোল মডেলও।

১৯ নভেম্বর হচ্ছে বিশ্ব পুরুষ দিবস। এই দিনটি শুধু তাদের উদযাপনের জন্য। সারা বিশ্বে এমন একটি দিন পালনের বেশকিছু কারণও রয়েছে‌। জেনে নেয়া যাক সে কারণগুলো।

>>বিশ্ব পুরুষ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আদর্শ পুরুষদের কথা আরো বেশি করে সবাইকে জানানো। কর্মঠ ও পরিবারের খেয়াল রাখে এমন পুরুষরাই আমাদের রোল মডেল। তাদের গল্প সবাইকে বলাই দিনটির প্রধান লক্ষ্য।

>>পুরুষরা রোজকার জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ির সদস্যদের খেয়াল রাখা, বাচ্চার যত্ন নেয়া, তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেয়া ও বড় করে তোলা। এসবের পাশাপাশি নিজের সঙ্গিনীকে ভালো রাখার দায়িত্বও আছে। এছাড়া কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। সমাজের প্রতি পুরুষদের এই দায়িত্বের কথাই মনে করিয়ে দেয় দিনটি।

>> প্রতিদিনকার চাপ সামলাতে সামলাতে পুরুষদেরও নানারকম অসুস্থতা হতে পারে। বিশ্ব পুরুষ দিবস তাদের শরীরের খেয়াল রাখার কথাও মনে করিয়ে দেয়।

>>সমাজে নারীদের মতো পুরুষরাও বেশ কিছু জায়গায় বিষম আচরণের সম্মুখীন হয়। তাদের সেই আচরণ থেকে রক্ষার করার বার্তাও দেয় এই বিশেষ দিন‌।

>>লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনার ব্যাপারে এখন পুরো পৃথিবী সচেতন। এর জন্য নারীর পাশাপাশি কিছু কিছু বিষয়ে পুরুষের অধিকারও সুনিশ্চিত করা দরকার। বিশ্ব পুরুষ দিবস সে কথাগুলোই মনে করায়।‌

>>এই দিনটি পালনের দাবি অনেক আগে থেকেই উঠেছিল। ১৯৬০ সাল থেকে এমন একটি দিন পালনের দাবি অনেকেই জানাতে শুরু করে। ৯ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন করা শুরু হলে এই দাবি আরও জোরালো হয়।‌ তবে দিনটি প্রথম পালন করা শুরু করেন থমাস ওস্টার। ১৯৯২ সালের ৭ তারিখ এই দিনটি প্রথম পালন করা হয়। ১৯৯৯ থেকে দিনটি ১৯ নভেম্বর পালন করা শুরু হয়। এর পেছনে প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ডা. জেরোমি তিলাকসিং। তখন থেকেই দিনটি‌ ১৯ নভেম্বর পালিত হচ্ছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Print Friendly and PDF