প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১২:২৫ : অপরাহ্ণ
কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র তিনদিন। বহু আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্কের পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আসর। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো বছরের মাঝামাঝি সময়ের বদলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফুটবলের এই মহারণ। আর এবারই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিমপ্রধান দেশে প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপ মানেই উন্মাদনা, যার ছোঁয়া লেগেছে বিশ্বের আনাচে-কানাচে। চার বছরের অপেক্ষার পর এ আয়োজন নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের কৌতূহলেরও শেষ নেই। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে নিজের পছন্দের দলের পতাকা ওড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। পিছিয়ে নেই ময়মনসিংহের ফুটবল সমর্থকরাও।
নিজের পছন্দের দলের পতাকা টানানো শুরু করেছেন অনেক আগে থেকেই। এরই মাঝে নান্দাইলে তিন হাজার ফুট লম্বা পতাকা টানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
জানা যায়, গত রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত তিন দিনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তা বাজার থেকে নান্দাইল রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে বিশাল এক পতাকা টানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নান্দাইল উপজেলা অটোরিকশা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আল আমিন, আশিক ভূঁইয়া, এমদাদুল হক বাচন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ ও ফাহিম ভূঁইয়াসহ কয়েকজন পতাকা তৈরি করেছেন। শুধু পতাকা টানানোই নয়, ওই সমিতির উদ্যোগে ফুটবলপ্রেমীদের খেলা দেখানোর জন্য প্রজেক্টর, পর্দা ও আকাশ ডিটিএইচ কিনেছেন। যেন নান্দাইলবাসী বিশ্বকাপের সবকটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারেন।
উদ্যোক্তা আল আমিন জানান, নান্দাইল রোড বাজারের আব্দুল মতিন টেইলার্সের দোকানে ছয় দিনে ১ হাজার ৫০০ গজ কাপড় দিয়ে তিন হাজার ফুট লম্বা পতাকা তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে পতাকা তৈরি করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
পতাকা সেলাইয়ের কারিগর আব্দুল মতিন বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী মিলে ছয়দিন লেগেছে পতাকা সেলাই করতে। আমার জীবনে এমন বড় পতাকা সেলাই করিনি। আর্জেন্টিনা দলকে ভালোবাসি বিধায় আগ্রহ নিয়ে পতাকাটা সেলাই করেছি। পারিশ্রমিক যাই দেয় তাই নেবো, এর মধ্যে কোনো চাহিদা নেই আমার।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশিক ভূঁইয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা দলের সমর্থন করি। ফেসবুকে, টিভিতে অনেক বড় বড় পতাকা বানানো দেখেছি। গত বিশ্বকাপ থেকে আমাদের পরিকল্পনা ছিল আমরাও বিশাল একটি পতাকা তৈরি করার। আর্জেন্টিনা দলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থেকেই পতাকা তৈরি করা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নিলে বাংলাদেশকে সমর্থন করতাম। এবার আমরা আশাবাদী আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ নিবে।