চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রেনে পড়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১২:২৩ : অপরাহ্ণ

ড্রেনে পড়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ

নড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় কালিয়া উপজেলার গন্ধবাড়িয়া গ্রামের বেড়িবাঁধের পেছনের ড্রেন থেকে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম শেখ আবু তালেব (৭৫)। তিনি নড়াগাতি থানার মাউলি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত মোজাম শেখের ছেলে। শেখ আবু তালেব জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তার খোঁজাখুঁজি করেন। এ সময় মসজিদের মাইকেও তাকে খোঁজার ঘোষণা দেয়া হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ি হতে আধা কিলোমিটার দূরে গন্ধবাড়িয়া গ্রামের বেড়িবাঁধের ড্রেনে একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে নড়াগাতি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেবের মরদেহ উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১৪ নভেম্বর ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নির্বাচন হয়। আবু তালেব আগে ওই মাদরাসার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে একটি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন তিনি। অন্য প্যানেলর সভাপতি প্রার্থী ছিলেন তবিবুর রহমান মণ্ডল। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নির্বাচনে আবু তালেবের প্যানেল জয় লাভ করে। এটা নিয়ে নির্বাচনের দিন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মাদরাসার পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে সভাপতি নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আবু তালেবের প্যানেল জয়লাভ করায় তিনিই আবার সভাপতি হতেন। তাকে সভাপতির পদ থেকে সরাতে প্রতিপক্ষ প্যানেলের লোকজন শত্রুতার বসে তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মাউলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোজি হক বলেন, আগে এলাকায় কোনো গ্রাম্য কোন্দল ছিল না। তবে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে দুই প্যানেলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেবের এমন মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।

নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেবের মরদহে উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Print Friendly and PDF