প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১:৩১ : অপরাহ্ণ
বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ তলানিতে ঠেকেছে। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের জোগান নগণ্য। খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ রয়েছে। তবে দাম চড়া। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৫- ১৭০ এবং পাম অয়েল ১৩০- ১৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্যাকেটজাত চিনিরও সরবরাহ নেই। খোলা চিনি পাওয়া গেলেও মূল্য বেশি। কেজিপ্রতি তা বিকোচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সেই পুরোনো কৌশলে হাঁটছে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দর বৃদ্ধির চেষ্টা করছে সেগুলো। গত রমজানেও এ ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়।
গত ৩ অক্টোবর লিটারপ্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৮, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৮০ এবং খোলা তেল ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। ১ নভেম্বর ফের লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ভোজ্যতেল আমদানিকারীরা। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি সরকার।
গত ৬ অক্টোবর প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১২৫ টাকা ধার্য করে সরকার। তবে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩২ টাকায়। অবশ্য এবার এ তেলের দর বাড়ানোর প্রস্তাব দেননি ব্যবসায়ীরা।
মালিবাগ বাজারের মায়ের দোয়া স্টোরের বিক্রয়কর্মী আল-আমিন সরকার বলেন, চাহিদাপত্র নিয়েও কোম্পানিগুলো তেল দিচ্ছে না। সরকার আবার দাম বাড়ালে বাজারে তা সরবরাহ করতে সেগুলো। গত রমজানে যেটা দেখা গেছে।
তেজকুনিপাড়ার সুমা জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী মো. শুভ বলেন, কয়েক দিন ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি লিটার কিনতে হচ্ছে ১৬৫-১৬৮ টাকায়। ফলে ১৭০ টাকার কমে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
মহাখালী কাঁচাবাজারের মাসুমা স্টোরের বিক্রয়কর্মী মো. আল-আমিন বলেন, হাতে গোনা দু’একটি কোম্পানি স্বল্প পরিমাণে তেল দিচ্ছে। তবে তেলের সঙ্গে অন্য পণ্যও কিনতে হচ্ছে। যেমন মসলা, চা পাতা বা সরিষা তেল নিতে হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এতে এখনও সায় দেয়নি সরকার। কারণ, বাজারে জোগান পর্যাপ্ত থাকার কথা।
তিনি জানান, এ অবস্থায় কেউ অবৈধ মজুত করলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দরকারি ব্যবস্থা নেবে।