প্রকাশ: ৭ নভেম্বর, ২০২২ ১১:২৬ : পূর্বাহ্ণ
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ১০১টি বই দেনমোহরের বিনিময়ে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন। জানা গেছে ওই পাত্রীর নাম সুমাইয়া পারভীন অন্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুহুল মিথুন। তিনি বর্তমানে একটি সরকারি ব্যাংকে কর্মরত। বর-কনে উভয়েরই বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায়।
বইয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসার কারণে অন্তরা স্বর্ণালংকার, গয়নার পরিবর্তে বেছে নিয়েছেন ১০১টি বই। ব্যতিক্রমী সেই ইচ্ছা থেকেই তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
গত শনিবার (২৯ অক্টোবর) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। ব্যতিক্রমী এই দেনমোহরের চাহিদা অবাক করেছে বরপক্ষসহ সবাইকে। কনের ইচ্ছাতেই ১০১টি বই হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হয়। ভিন্নধর্মী এই দেনমোহর পরিশোধ করে বিয়ে হওয়ায় সন্তুষ্টির কথা জানান দুজনই।
এ বিষয়ে অন্তরা বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবনেই দেনমোহর হিসেবে বই নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার ইচ্ছার কথা বাবা-মাকে জানালে তারা প্রথমে অবাক হলেও আমার চিন্তার প্রশংসা করেন। আমার বাবা তখনই বইয়ের নাম সংগ্রহ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে আমি পছন্দের ১০১টি বইয়ের নাম সংগ্রহ শুরু করি।’
অন্তরা আরও বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের আগেই আমার হবু স্বামীকে দেনমোহর নিয়ে আমার চিন্তার কথা জানাই। তিনি শুনে প্রথমে অবাক হলেও আমার ইচ্ছা পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী ১০১টি বই হস্তান্তর করেছেন।’
এ বিষয়ে বর রুহুল মিথুন বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের কথা পাকাপাকি হলে আমার হবু শ্বশুর তার মেয়ের ইচ্ছার কথা জানান। এতে আমিসহ পরিবারের সবাই অবাক হই। পরে আমার পরিবার এই সিদ্ধান্তে মেনে নেয়। তারা (অন্তরার পরিবার) ১০১টি বইয়ের লিস্ট দেন। লিস্ট ধরে বইগুলো খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট করতে হয়েছে। তবে বিষয়টি খুবই উপভোগ করেছি।