চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় ঢাকা

প্রকাশ: ৭ নভেম্বর, ২০২২ ২:১৮ : অপরাহ্ণ

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আজ সোমবার (৭ই নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬১ রেকর্ড করা হয়েছে। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।

এছাড়া এ তালিকায় যথাক্রমে ২৮৩ ও ১৬৩ কিউআই সূচক নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লী ও কোলকাতা।

মাত্রাতিরিক্ত মানুষের বসবাসের নগরী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হতে দেখা গেলেও গ্রীষ্ম ও শীতকালে শহরটিতে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।

প্রসঙ্গত, একটি নির্দিষ্ট শহরের প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে একিউআই সূচক তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে একটি শহরের বাতাস কতটুকু বিশুদ্ধ বা দূষিত এবং সেই সাথে ওই পরিস্থিতিতে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেই তথ্য দেয়া হয়।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ূদূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণ মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে ‘পলিউশন অ্যান্ড হেলথ: আ প্রোগ্রেস আপডেট’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয় বিভিন্ন প্রকার দূষণজনিত কারণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে শুধু বায়ু দূষণের কারণেই সর্বাধিক এক লাখ ৭৩ হাজার ৫১৫ জনের মৃত্যু হয়।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ূ দূষণের কারণেপ্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ূ দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হচ্ছে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ কাজের মাধ্যমে। গবেষণা বলছে, বায়ূ দূষণের জন্য নির্মাণখাত ৩০ শতাংশ দায়ী। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বায়ূ দূষণ হচ্ছে ইটভাটা ও শিল্পকারখানার মাধ্যমে। যার হার ২৯ শতাংশ। বায়ূ দূষণের তৃতীয় সর্বোচ্চ কারণ হলো যানবাহনের কালো ধোঁয়া, যার শতকরা হার ১৫ শতাংশ।

ঢাকার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানের বায়ুমান নিয়ে গবেষণা করে।

Print Friendly and PDF