চট্টগ্রাম, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুবকের নাক ফাটানোর অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ৩ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৩২ : পূর্বাহ্ণ

রংপুর নগরীর রাস্তায় মোটরসাইকেল পার্কিং নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে হাসান আল মামুন নামে যুবকের নাক ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষুব্দ পথচারীরা ট্রাফিক পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে ক্ষমা চান অভিযুক্ত পুলিশ।

বুধবার (২ নভেম্বর) রাত ১০টায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমঝোতা করা হয়। আহত মামুন নগরীর মাহিগঞ্জ কলেজ রোডের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মনসুর আহমেদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর আজাদ হোমিও হলের সামনে মোটরসাইকেল রেখে দোকানের ভেতরে ওষুধ কিনতে যান মামুন। ওষুধ নেয়া শেষে তিনি বাড়ির দিকে ফেরার পথে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সজল কুমার ও শফিকুল ইসলাম এসে তার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। পুলিশের কথা মত মামুন ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখান।

মামুন অভিযোগ করেন, এরপর সড়কে মোটরসাইকেল রেখে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে পুলিশ মামুনকে মামলা দেবে বলে জানান তারা। এ সময় সাবেক সেনা সদস্যের ছেলে পরিচয় দিলে তারা মামুনকে গালিগালাজ করেন। মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানের সামনে থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার নাকে ঘুসি মারেন টিএসআই সজল। এতে মামুনের নাক নিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে এবং তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আশপাশে থাকা অন্যান্য ট্রাফিক সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সজলসহ মামুনকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে ডিবি অফিসের সামনেও লোকজন ভিড় করেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিষয়টি সুরাহা করা হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। পরে তা সমাধানও হয়েছে।

Print Friendly and PDF