চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ , ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ফিরে বিয়ে, ২ মাস পর দেবরের সঙ্গে পরকীয়া, অতঃপর..

প্রকাশ: ৩ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৫২ : পূর্বাহ্ণ

দেবরের সঙ্গে পরকীয়া

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গর্ভবতী ফাতেমা আক্তারের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। ফাতেমা ওই গ্রামের মৃত সমাজ মিয়ার মেয়ে।

বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সহবতপুর গ্রামে থেকে নিখোঁজের ৬ দিন পর ঝুলন্ত অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের পবিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমার বিয়ের কয়েক বছর পর প্রথম স্বামী আলীম সন্তানসহ ফাতেমাকে তালাক দেয়। সংসারের অভাবের তাড়ানায় তখন ফাতেমা সৌদি পাড়ি দেন। টানা ৫ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরত আসে। পরে ফাতেমা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি নেন। চাকুরির সুবাদে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার আরশেদ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া সঙ্গে প্রথমে প্রেম এবং পরে বিয়ে হয়।

বিয়ের প্রায় ২ মাস পর রুবেলের ছোট ভাই শামিমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ফাতেমা। পরে রুবেলকে তালাক দিয়ে ছোট ভাই শামিমকে বিয়ে করে সাত মাস ধরে ঘর সংসার করে আসছিল। এরই মধ্যে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ফাতেমা।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) স্বামীসহ ফাতেমা তার বাবার বাড়ী সহবতপুর আসেন।
পরের দিন (২৮ অক্টোবর) সকালে স্বামী শামীম ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী ফাতেমাকে আর খুঁজে পান না। ফাতেমার বাড়ীর লোকজন স্বামী শামীমকে চাপ সৃষ্টি করলে শামীম কোন কিছু উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যান।

নিহত ফাতেমার বাড়ীর লোকজন শামীমের মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে শামীম নানা রকম কথাবার্তা বলেন।

এদিকে নিখোঁজের ৬ দিন পর বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে বাড়ির পাশ থেকে মাটি আনতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে ফাতেমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান চাচাতো ভাবি পারুল আক্তার। পরে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেন।

এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত) হাসান সরকার জাহিদ বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly and PDF