চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবসার আড়ালে অর্থপাচার: বছরে সন্দেহজনক লেনদেন সাড়ে ৮ হাজার

প্রকাশ: ১ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৪৬ : পূর্বাহ্ণ

দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা পাচার হয় ব্যবসার নামে। আর গত এক বছরে এমন সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার। তবে অর্থপাচারের সঠিক হিসাব নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রতিবেদন প্রকাশের সময় জানানো হয় এসব তথ্য।

বিদেশি ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমানতের পরিমাণও। তবে প্রতি বছর কী পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে- তা জানা নেই কারোরই।

যথাযথ হিসাব না থাকলেও সন্দেহজনক তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থাটির প্রধান জানালেন, গেলো অর্থবছরে সাড়ে ৮ হাজারটির বেশি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিংবা অর্থপাচার প্রশ্নে অসহায় আত্মসমর্পণ বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের।

তিনি বলেন, এ বছর আমরা তাদের কাছ থেকে ৫৮৭১টি এসটিআর পেয়েছি। গত বছরের তুলনায় যা ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালেই বেশি অর্থপাচার হচ্ছে। করোনাকালে এ হার কয়েকগুণ বেড়েছে। এই দৌড়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও পিছিয়ে নেই।

বিএফআইইউ প্রধান বলেন, ই-কমার্স ও ডিজিটাল সংক্রান্ত যেসব জালিয়াতি হয়েছে, কোভিড পরবর্তী সময়েও নানা জাল-জালিয়াতির ঘটনাও এসটিআর/এসআর বৃদ্ধির কারণ। মোট ৫২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওপর আমরা প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি। এর মধ্যে ৩০টি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছি।

বিএফআইইউ জানায়, আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয়ের হিসাবে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে অর্থপাচারে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো।

Print Friendly and PDF