প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ১:১০ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি না। আমাদের সম্মেলনের তারিখ আগেই নির্ধারিত। বিএনপির সমাবেশের পাল্টাপাল্টি নয়। এটা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে নেত্রী দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে উপ-কমিটি করা হবে। এখন থেকে শেখ হাসিনা ঢাকার বাইরে সমাবেশ করবেন। মাসে দুটি করে সম্মেলনে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। করোনার কারণে এতদিন ভার্চুয়ালি সব কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কোনো সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগ বাধা সৃষ্টি করেনি। পরিবহনের লোকজনও বিএনপির সন্ত্রাসীদের ভয় পায়। তাই তারা ধর্মঘট ডাকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি ছাড়া তাদের সভা-সমাবেশ অচল। বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করতে এলে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। কোনোভাবেই তাদের নাশকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগসহ অন্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের সম্মেলন করা হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আলোচনা করে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।