প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৩৮ : অপরাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সাগরে ড্রেজার ডুবির ঘটনায় আজ বুধবার আরও তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় আল আমিন হাওলাদার নমে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তবে এ ঘটনায় এখনো ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ড্রেজারে আট শ্রমিক ছিল। তারা আজ সকাল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেছে। গতকাল একজনকে উদ্ধার করা হয়। এখনো ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে, সোমবার রাত ৮টার দিকে ড্রেজারটি ডুবে গিয়েছিল। সেখানে ৯ জন শ্রমিক ছিলেন। এর মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা ডুবে যান।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম নগর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। নিখোঁজ শ্রমিকদের লাশের জন্য সাগর পাড়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।
আল আমিন হাওলাদার বাদে ডুবে যাওয়া অন্যরা হলেন, পটুয়াখালী জেলার জৈনকাঠি থানার মোল্লাবাড়ি এলাকার আনিস মোল্লার দুই ছেলে শাহীন মোল্লা (৩৮) ও ড্রেজার চালক ইমাম মোল্লা (২৫), আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা (২৬), মোকুমদার হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার (২৫), ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওলাদার (৩৫), লোকমান ফকিরের ছেলে জাহিদুল ফকির (২২), নুরু সরকারের ছেলে আলম সরকার (৩৮), রহমান খানের ছেলে তারেক মোল্লা (২০)। সবার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার জৈনকাঠি মোল্লাবাড়ি থানায়। এর মধ্যে আল আমি হাওলাদারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ড্রেজার থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক মো. সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও ঢেউয়ে সৈকত-২ নামের ড্রেজারটি মীরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। ড্রেজারের মালিক সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানকে মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে নিয়োগ দিয়েছে বেপজা। ড্রেজারটিতে থাকা ৯ শ্রমিকের মধ্যে তিনি কিনারে আসতে পারলেও বাকি আট শ্রমিক আটকা পড়েন।