প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ৬:০৫ : অপরাহ্ণ
মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিক থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জনপ্রতিনিধি হলেন আয়শা সিদ্দিকা। তিনিই সর্বোচ্চ বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো শিবচর ও রাজৈর উপজেলায় সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচিত হন। আয়শা সিদ্দিকা প্রথম আলো পত্রিকায় শিবচর প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ ১২ বছর সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন।
বেসরকারিভাবে ফলাফলে আয়শা সিদ্দিকা ফুটবল মার্কায় সর্বোচ্চ ৩০৫ ভোট পেয়ে মাদারীপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা বেগম ৯৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আয়শা সিদ্দিকা ২১০ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। এমন কি প্রার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ভোট। অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে আয়শা সিদ্দিকা সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে বিজয়ী হলেন।
আয়শা সিদ্দিকা জানান, তিনি এ বছর মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে (শিবচর- রাজৈর) সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তার মার্কা ফুটবল। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিনা বেগম হরিণ মার্কা নিয়ে নির্বচন করন।
এ ব্যাপারে আয়শা সিদ্দিকা মুন্নি বলেন, এ বিজয় আমার নয়। এটা শিবচরের জনগণের বিজয়, এটা জাতীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী বিজয়। আমি দীর্ঘ দিন মানুষের সুখ দুঃখ মিডিয়াতে প্রচার করেছি। এ কারনে আমার বিজয় হয়েছে।
মাদারীপুর জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আয়শা সিদ্দিকা প্রাপ্ত ভোটের সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে বেশি ভোটে ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন। তিনি যেমন যোগ্য সাংবাদিক ছিলেন, তেমনি এবারও তার যোগ্যতা প্রমাণ হলো।
এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, আয়শা সিদ্দিকাকে শিবচর ও রাজৈরে জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেছেন। তাই শিবচর ও রাজৈরের জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানান। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জেলা পরিষদের নির্বাচিত হওয়ার কারনে আয়শা সিদ্দিকাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি সৎ হওয়ায় তাকে মূল্যায়ন করেছে ভোটাররা।
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুনির চৌধুরী ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস হোসেন।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে সদর উপজেলার ২ জন, কালকিনিতে ২ জন, ডাসারে ৪ জন প্রার্থী ও সংরক্ষিত সদস্য পদে (মাদারীপুর সদর -কালকিনি -ডাসার) উপজেলা থেকে ৫ জন এবং রাজৈর- শিবচর উপজেলা থেকে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।