প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ৩:৪৩ : অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার দুই ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দীন চৌধুরী ও রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর কাছ থেকে স্থানীয় কৃষক, মজুর, ছাত্র,ব্যবসায়ী কেউ নিরাপদ নয়। প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রাম থেকে লোকজন ধরে নিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। গত একমাসে ১৯ জন লোক অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন ১৩ জন। প্রশাসন উদ্ধার করেছে চারজনকে। মুক্তিপণ না দেওয়ায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন দুইজনকে স্থানীয়রা। তাও অপহরণের কয়েকদিন পর গভীর জঙ্গল থেকে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াবুল হক জানান, রোহিঙ্গা ডাকাতদের আতঙ্কে পর্যটনের সম্ভাবনাময় পাহাড়ি ঝরনা স্বপ্নপুরী অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
এরই মধ্যে অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ধরনের অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনসহ শতাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা হয়েছে উখিয়া ও টেকনাফ থানায়।
আটককৃতরা হচ্ছে-জোবাইর, নুরুল আলম, কায়ছার, হামিদ ও রমিজ। তারা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, সন্ত্রাসীরা যতই শক্তিশালী হোক ধরা তাদের পড়তেই হবে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ক্যাম্পে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা।