চট্টগ্রাম, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ , ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহানবীর (সা.) আবির্ভাব সারা জাহানের জন্য রহমত: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ৮ অক্টোবর, ২০২২ ১১:২৯ : পূর্বাহ্ণ

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় মহানবী (সা.) এর আবির্ভাব এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় ঘটনা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের জন্য রহমত হিসেবে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে মসজিদ উত-তাকওয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রিয়নবী (সা.) পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাত জর্জরিত পৃথিবীতে মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও কল্যাণের পথ প্রদর্শক। তার মাধ্যমে সুমহান ইসলাম লাভ করেছে পরিপূর্ণতা।

ফরিদুল হক খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মহানবী (সা.) এর ক্ষমা ও উদারতা, নারী জাতির প্রতি সম্মান, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব দান, অমুসলিম বা চুক্তিবদ্ধ নাগরিকদের নিরাপত্তা, সুশাসন, মানবিক আচরণ, কল্যাণ ভাবনা, শান্তি ও যুদ্ধনীতি, মদিনা সনদ, হুদাইবিয়ার সন্ধি ও মক্কা বিজয়ের চেতনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা যদি আমাদের কর্ম-পন্থা নির্ধারণ করি, তাহলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হয়ে উঠবে উন্নত, সমৃদ্ধ, শান্তি ও কল্যাণময়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে আছে, তা হতে পারে আরো সুসংহত ও সুদৃঢ়।

তিনি আরো বলেন, ইসলামের আদর্শ ও মর্মবাণী সঠিকভাবে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), শবে কদর ও শবে বরাতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের প্রচার-প্রসারে সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মসজিদ পাঠাগার ও ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, দাওরা হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বিজয়ী হাফেজ জাকারিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন মসজিদের খতিব মাওলানা ইউসুফ আব্দুল মজিদ, মসজিদ উত-তাকওয়ার খতিব মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি একেএম রেজাউল হক, সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

Print Friendly and PDF