চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের জেলে থাকা ১৩৫ ভারতীয় মৎস্যজীবী

প্রকাশ: ৮ অক্টোবর, ২০২২ ৫:৪১ : অপরাহ্ণ

দীর্ঘ আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ১০৪ দিন পরে ভারতে ফিরলেন বাংলাদেশে আটকে থাকা ১৩৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে শনিবার (৮ অক্টোবর) ভারতীয় সময় সকাল ৪.৩০এর দিকে ৮ টি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার সহ ১৩৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ও ময়নাপাড়ার ঘাটে এসে পৌঁছায়। দীর্ঘদিন পর অবশেষে ভারতে পৌঁছাতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে এই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা।

চলতি বছরের ২৬শে জুন আচমকা সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠলে ৮টি ফিশিং ট্রলারে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে এই ১৩৫জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। এ সময় তাদের উদ্ধার করে আটক করে বাংলাদেশি উপকূলরক্ষী বাহিনী। ফলে বাংলাদেশে আইনি মারপ্যাঁচে আটকে যায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের দ্রুত দেশে ফেরার প্রক্রিয়া।

বাংলাদেশী উপকূল রক্ষী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ও তিন মাসের বেশি কারাভোগ করার পরে অবশেষে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ভারতীয় ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার সংস্থার সহযোগিতায় শনিবার ভারতে ফেরত পাঠানো হয় তাদের। চলমান উৎসবের মৌসুমের মধ্যে বাংলাদেশে আটক থাকা এই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা ঘরে ফেরায় খুশি তাদের পরিবার ও গ্রামবাসীরা।

যদিও এই ঘটনার মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে আগস্ট মাসে আচমকাই সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠলে ডুবে যায় একাধিক বাংলাদেশি ট্রলার। বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুরোধে এ সময় ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চালায় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে ভারতীয় জলসীমা থেকে উদ্ধার করা হয় সমুদ্রে ভাসতে থাকা ১১৯ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকে। কোনরকম আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই দুই ধাপে ২৪ঘণ্টা থেকে মাত্র ৭২ঘণ্টার মধ্যেই তাদের বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী।

বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের উদ্ধারের পর উন্নত চিকিৎসা, খাদ্য, পোশাক দেওয়ার পাশাপাশি তাদের রাখা হয় বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টার ও গেস্ট হাউসে। উল্টোদিকে প্রায় একই ঘটনায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের তিন মাসের বেশি কারাভোগ করার ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় মৎস্যজীবী সংগঠন গুলি। যদিও মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাবুল দাস।

Print Friendly and PDF