প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২২ ১০:২৩ : পূর্বাহ্ণ
প্রেমিকাকে না জানিয়ে বিয়ে করায় প্রেমিকের বাসায় গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় প্রেমিকের ফ্ল্যাটে গিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষার্থী।
আটক প্রেমিকের নাম মো. ফিরোজ আলম (৩১)। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে তিনি কাজ করতেন। গত ৬ মাস আগে আরেক চিকিৎসককে বিয়ে করেন তিনি। দোহার থানার রাধানগর গ্রামের মো. ওমর আলীর ছেলে ফিরোজ।
নিহত নুসরাত মিম ওরফে কুলসুম (২৬) গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার দেহেরগতি গ্রামের মৃত শাহজাহান তালুকদারের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, প্রেমিক বিয়ে করেছে জানতে পেরে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হন প্রেমিকা। মিমকে ঘরে রেখেই বারান্দায় স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে যান ফিরোজ। পরে বারান্দার দরজা ঘরের ভেতর থেকে আটকে নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়েন মিম। বারান্দা থেকে ফিরোজ এ ঘটনা দেখতে থাকেন। সে চিৎকার চেঁচামেচি করলেও মিম থামেনি। পরে ফোনে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এবং প্রেমিককে বারান্দা থেকে বের করে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক প্রেমিককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচনায় আটক ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।