প্রকাশ: ৩ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৫৮ : অপরাহ্ণ
কে হচ্ছেন ব্রাজিলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট- সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা নাকি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো? এটি শুধু একটি নির্বাচন নয়, বরং এর ওপর নির্ভর করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট, পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজনের ভাগ্য।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ নির্বাচনে জাইর বলসোনারো জিতলে মহাবন আমাজন ধ্বংসের ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে পারে এবং এটি ধ্বংসের শেষপ্রান্তে গিয়ে ঠেকতে পারে। অন্যদিকে, সাবেক রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার বিজয় বনটিকে রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বলে তাদের ধারণা। কেননা, লুলা দ্য সিলভা ক্ষমতায় থাকাকালে বনটি রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
আমাজন রেইনফরেস্ট কার্বন-ডাই অক্সাইডের শোষণের একটি বিশাল ভান্ডার হিসেবে পরিচিত, যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বনে আগুন দেয়া এবং গাছ কাটার কারণে বনটি কার্বন শোষণের তুলনায় বেশি নির্গমন করছে।
গবেষকরা গত মার্চ মাসে দেখিয়েছিলেন, আমাজন এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে যেটি বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে দ্রুতই হারিয়ে যাবে।
বলসোনারো ২০১৯ সালের শুরুতে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। গবেষকদের মতে, তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিবেশগত সুরক্ষা কমিয়ে এনেছেন এবং নানা পদক্ষেপ নিয়ে বনকে উড়াজ করে চলেছেন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ ও ২০২০ সালে কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন আগের দশকের তুলনায় গড়ে দ্বিগুণ হয়েছে; যার পেছনে রয়েছে গাছ কাটা এবং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বন উজাড় করা।
সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, গত বছর প্রায় এক মিলিয়ন হেক্টর রেইনফরেস্ট পুড়ে গেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে এক দশকের মধ্যে দাবানল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্রাজিলের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা INPE, এ অঞ্চলে ৩৬ হাজার ৮৫০টি অগ্নি সতর্কতা জারি করেছে যা ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।