প্রকাশ: ১ অক্টোবর, ২০২২ ১২:০৯ : অপরাহ্ণ
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেলের কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে দুটি টিউবের ঢালাইসহ আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। বর্তমানে টানেলের ভেতর ফায়ার ফাইটিং, লাইটিং ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার কাজ চলমান বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
তবে ডিসেম্বরে উদ্বোধনের চিন্তা থাকলেও জনসাধারণের জন্য খুলে দিতে আরও ৩-৪ মাস সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান।
চীনের আর্থিক সহযোগিতায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণ হচ্ছে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম এই ট্যানেল। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এ প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্য। ইতোমধ্যে টানেলের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলছে ফায়ার ফাইটিং, লাইটিং ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার কাজ।
এছাড়া ৪০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে ৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও কর্ণফুলীর ওয়াই জংশন পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার ছয় লেন সড়কের কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
ডিসেম্বরে টানেল উদ্বোধন করা গেলেও জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান। টানেল বিশেষজ্ঞ প্যানেল চেয়ারম্যান ড. শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, কাজ সম্পন্ন করতে নিদিষ্ট সময়ের চেয়ে ২-৪ মাস বেশি লাগতে পারে। কোভিড আমাদেরকে স্লো করে দিয়েছে এ কারণে কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগছে।
ওয়ান সিটি টু টাউন ধারণাকে সামনে রেখে নির্মানাধীন এই টানেল চট্টগ্রাম শহরকে কর্ণফুলি নদীর ওপারে সম্প্রসারিত করবে। পদ্মাসেতুর পর সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পের উদ্বোধনের অধীর অপেক্ষায় চট্টগ্রামের মানুষ।