প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৩:১৪ : অপরাহ্ণ
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। তার সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার রাতে ও বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে লস এঞ্জেলসে প্রবাসী বাংলাদেশি ও গ্রেটার ফরিদপুরবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্বে প্রভাবশালী নারী প্রধানমন্ত্রী, অনুকরণীয়-অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, মূল্যবোধ, কৃষি, অর্থনীতি, রেমিট্যান্স, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশবাসীকে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। শুধু আর্থিক বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে, বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন রকমের সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু সপরিবারের দেশবিরোধীদের হাতে শহিদ হওয়ার পর জীবনের ঝুঁকি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসেন। এ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার বাস্তবায়নের লড়াই ও সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। স্বৈরাচারী এরশাদকে হঠিয়েছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারা-নির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। অন্তত ২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে অবিচল থেকেছেন।
তিনি বলেন, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে তাদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করে ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা- একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যে তিনি গৃহহীন ঘর তুলে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার তুলনা শুধুই শেখ হাসিনা। তিনি অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া যুবলীগের সভাপতি সুবর্ন নন্দী তাপস, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি, নুরে আলম সিদ্দীকি সাদী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান জীবন, কমিউনিটি নেতা মমিনুল হক বাচ্চু, সায়েদুল হক সেন্টু, হুমায়ুন কবির, ইলিয়াস সিকদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মশহুরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক লস্কর আল মামুন, সাজিয়া হক মিমি, আনন্দ মেলার সভাপতি মোহাম্মদ আলী খান প্রমুখ।
এ সময় প্রবাসীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে আসার আহ্বান জানান। এছাড়াও লস এঞ্জেলসে স্থায়ীভাবে কনস্যুলার অফিস স্থাপন ও প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে করণীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।