প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৫:৪৩ : অপরাহ্ণ
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘রাইটস অব রিভার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য আমরা যথাযথ চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। নদীর তীরে নদীর জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠা স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণকে নদীমুখী করতে পারছি-এটা আমাদের সফলতা। সরকার গঠনের পর বলেছি নদীকে আলোচনায় আনতে হবে। নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে। জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, নদীর সঙ্গে চলে এসেছে, এটা আমাদের সফলতা। বঙ্গবন্ধু জলাভূমি ও নদী নিয়ে কথা বলেছেন।
নদী ও জলাভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, নদীর নাব্যতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলো এখনো সচল আছে এবং নাব্যতা রক্ষায় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যা এবং নেনরাজবাড়ীর পাংশায় নদী খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করতে পারলে, আজকে নদীর নাব্যতা ও দূষণ নিয়ে কথা বলতে হতো না। এখন বাস্তবতা হলো-নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা কমে গেছে দূষণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।