প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:৪১ : পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। মিয়ানমার ভিত্তিক গণমাধ্যম ও রাখাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আরাকান আর্মির মূল রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের বার্মিজ ভাষায় লেখা একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে।
রোববার (১৮সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের ওয়েস্টার্ন নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মির ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশের বান্দরবানের মর্টারশেল বিস্ফোরণে নিহত রোহিঙ্গা ইকবালের মৃত্যুতে সমবেদনা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে এই ঘটনার জন্য মিয়ানমারের সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত বর্ডার গার্ড পুলিশকে দায়ী করে প্রতিবাদ জানিয়েছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে দাবি করে আরাকান আর্মি জানায়, জান্তার এমন আচরণের কারণে দেশটির সীমান্ত অঞ্চলের মানুষদের চরম সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এদিকে আরাকান আর্মির এই বিবৃতিকে নাটক বলে দাবি করেছে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
এ প্রসঙ্গে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী মোহাম্মদ হাবিব বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য জান্তা ও আরাকান আর্মি দায়ী। রোহিঙ্গার মৃত্যুতে আরাকান আর্মির দুঃখ প্রকাশ নাটক ছাড়া কিছুই না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক রোহিঙ্গা জানান, আরাকান আর্মিও চায় না বাংলাদেশে আশ্রিতরা নিজ দেশে ফিরে যাক। আমরা যেহেতু দেশে ফেরার দাবি জোরালো করেছি তাদের উচিত ছিল উত্তেজনায় না জড়িয়ে সহাবস্থান বজায় রাখা।
গত দুই মাস ধরে রাখাইনের সীমান্ত অঞ্চলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে।
যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলেও। শুক্রবার একটি মর্টারশেল শূন্যরেখায় বিস্ফোরিত হলে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং ৬ জন আহত হন।
এ ঘটনায় রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।