চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনুর ফেরত চান অনেক ভারতীয়

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৪৬ : অপরাহ্ণ

৮ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনুর নিয়ে ভারতীয়রা টুইটারে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ কোহিনুর হলো দামি রত্মগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২৮০০ টি পাথর দিয়ে রানি এলিজাবেথের মায়ের জন্য যে মুকুট তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে কোহিনুর হীরাটি রয়েছে।

কোহিনুর হীরার মালিকানা এক সময় ভারতীয়দের দখলে ছিল। যা পরবর্তীতে হাত বদল হয়ে ব্রিটিশদের কাছে চলে যায়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১২ থেকে ১৪’শ শতকের দিকে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে পাওয়া যায়। যেটি পরবর্তীতে ১৬’শ শতকের দিকে মোঘলদের কাছে চলে যায়। পরবর্তীতে এই কোহিনুর পার্সিয়ানরা নিয়ে যায়, তাদের কাছ থেকে আবার আফগানরা দখলে নেয়। পরবর্তীতে আফগানের শাসক শাহ সুজা দুররানির কাছ থেকে এটি আবারও ভারতে ফিরিয়ে আনেন শিখ মহারাজ ও রঞ্জিত সিং।

পরবর্তীতে ১৮৪০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মহারাজ দুনজিপ সিং এর কাছ থেকে ওই পাথরটি জোর করে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। একই সঙ্গে তার সম্পত্তিকে দেখলে নেওয়া ইস্ট ইন্ডিয়া।

কোম্পানিটি তখন রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে রত্নটি উপস্থাপন করে। পরবর্তীতে ১৯৩৭ সালে রানির মায়ের মুকুটে স্থাপন করার আগে এটি রানী আলেকজান্দ্রা এবং কুইন মেরির মুকুটে স্থাপন করা হয়।

এরপরই এটি ব্রিটিশদের স্থায়ী সম্পত্তি হিসেবে পরিণত হয়ে যায়। কিন্তু ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারত বরাবরই এটি নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে আসছে।

রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনুর নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় অনেক টুইটার ব্যবহারকারী এটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছে। একজন লিখেছেন, রাজা যদি এটি ব্যবহার না করেন, তাহলে এটি ফিরিয়ে দিন।

অন্য একজন লিখেছেন, ব্রিটিশরা কোহিনুর হীরা ভারত থেকে চুরি করে নিয়েছে। তারা মানুষের মৃত্যু, দুর্ভিক্ষ এবং লুটপাটের মাধ্যমে নিজেদের সাম্রাজ্য গড়েছে।

ভারতীয়দের এই হীরা চাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ও তখনকার সরকার ব্রিটিশদের কাছে এটি ফেরত চায়। তবে সে সময়ে ভারতীয়দের এই আবদার প্রত্যাখান করে ব্রিটিশরা।

সূত্র: ইয়াহু নিউজ

Print Friendly and PDF