প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৪:০২ : অপরাহ্ণ
আর যাই হোক ইভিএমে কোনভাবেই কারচুপি সম্ভব না। আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রে ঢুকে কেউ পেশিশক্তি ব্যবহার করলে তাৎক্ষনিক ভোট বন্ধের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ’র সাথে সংলাপ শেষে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপের নির্ধারিত সময় অংশ নিতে পারেনি জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ। তাই দল দুটির সাথে সোমবার সংলাপে বসে ইসি।
এতে অংশ নিয়ে আগামীতে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেন নেতারা। জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম মিশ্র প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন ইভিএম নিয়ে।
তিনি বলেন, কমিশন আগামী নির্বাচন ইভিএম ব্যবহার করতে চাইলে তিনশ আসনেই করতে হবে। আপাতত, কমিশনের সেই সক্ষমতা না থাকলে সব আসনের ১০ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন যেন দেয় আমরা সে কথা বলেছি এবং এজন্য যে বাধা আসবে তা মোকাবিলা করার জন্য বলেছি। ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন। ইভিএম নিয়ে ওনারা খুব একটা কিছু বলতে পারেননি, যেহেতু ওনারা বিশেষজ্ঞ নন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রীর প্রভাব, পেশিশক্তির প্রভাব ও কালো টাকার প্রভাব কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, সেগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। ওনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের দলগুলোকেও সহায়তা করার জন্য বলেছেন। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করবো।
সংলাপ শেষে সিইসি সাংবাদিকদের জানান, আর যাই হোক ইভিএমে কোনভাবেই কারচুপি সম্ভব না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রে ঢুকে কেউ পেশিশক্তি ব্যবহার করলে তাৎক্ষনিক ভোট বন্ধ করবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে। সিইসি জানান, বিএনপিকে জোর করে ভোটে আনবে না কমিশন। তবে তারা না আসলে জোর করেও আনা হবে না।
সিইসি জানান, সপ্তাহ খানেক পর প্রকাশ করা হবে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ। আর ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের মার্চে।
ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি আরও বলেন, ইভিএম নিয়ে আমরা খুব খুঁটিনাটি কাজ করছি। ইভিএমের মধ্যে ওই ধরনের কারচুপি, এইটা সেইটা এবং কার্ডের মাধ্যমে কী সম্ভব, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। কারচুপির বিষয় পাইনি। ব্যক্তি শনাক্তকরণের পর আঙুলের ছাপ দিলেই ছবি ভেসে আসবে। এরপর ব্যালট ওপেন হবে। ৪০ সেকেন্ড থাকবে। এর মধ্যেই ভোট দিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নতুন প্রকল্পে ইভিএম সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। এটা আমাদের পরিকল্পনা। প্রকল্প অনুমোদনের পর যদি বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে ব্যালটে নির্বাচন করব।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ইসি একা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ইসির ওপর ছেড়ে দিলে একার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব।