প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:১৬ : পূর্বাহ্ণ
রাষ্ট্রীয় সফরে কাল ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের এই সময়ে সফরটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি নির্বাচনের আগের বছরে এ সফরের রাজনৈতিক গুরুত্বও আছে বলে মনে করেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করবে ঢাকা ও নয়াদিল্লি।
টানা ক্ষমতার তৃতীয় মেয়াদে দ্বিতীয় বারের মত ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের এই শীর্ষ সফরে সম্পর্কের সব ইস্যু আবারো পর্যালোচনা করবে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে এই সফরে প্রথম সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এই সফরেও খুলছে না বহু প্রত্যাশিত তিস্তার পানি জট। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়ে সমঝোতার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। এছাড়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী বাস্তবতায় জ্বালানি সংকট নিরসনে কিভাবে একসাথে কাজ করা যায় সে প্রসঙ্গেও কথা বলবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম খান বলছেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া এ সফরে তিস্তা সমস্যার সমাধান না হলেও কুশিয়ারা বা আরও কিছু নদীর ক্ষেত্রে পানিবণ্টন নিয়ে কিছু নির্দেশনা পেতে পারি। জ্বালানি ক্ষেত্রেও আলোচনা হতে পারে। এছাড়া সেক্যুলারিজম বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিষ্কার করতে পারে এই সফরে।
সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ মোকাবিলার পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়টিও থাকতে পারে আলোচনায়। নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় নানা ইস্যুতে যোগাযোগ বেড়েছে বাংলাদেশ-ভারতের। অনেকের ধারণা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এমনকি নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর প্রতিবেশি ভারত। তাই প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তা অস্বীকার করা হলেও প্রকারান্তরে তিনি সত্যিই বলেছেন, বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন।
সবশেষ বাংলাদেশের স্বাধিনতার ৫০ বছরের উদযাপনে করোনার মধ্যেই ঢাকা এসেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তারপর হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দিল্লি সফর।