প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৯:৫২ : অপরাহ্ণ
দেশের খোলাবাজারে ডলারের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৮ থেকে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায়। আর মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে হয়েছে ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০৭ টাকা ২০ পয়সায়।
রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকার খোলাবাজারে এমন দামে ডলার বিক্রি হতে দেখা যায়। আগের দিন (বুধবার,৩১ আগস্ট) যা বেচাকেনা হয় ১১১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১২ টাকায়।
তবে আন্তঃব্যাংকে ডলারপ্রতি বিনিময় হার ছিল ৯৫ টাকা। এ মূল্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর গ্রাহকের কাছে ৯৬ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ৯৭ টাকায় লেনদেন করে বিভিন্ন ব্যাংক।
এর আগে গত ১০ আগস্ট খোলাবাজারে ডলার কিনতে গ্রাহককে গুনতে হয় ১১৯ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড। এ প্রথম মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে টাকার এত অবমূল্যায়ন ঘটে। এরপর থেকেই বাংলাদেশি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্যমান নিম্নমুখী হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পণ্য আমদানি মূল্য ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে দেশের মুদ্রাবাজারে। এতে টাকার বিপরীতে ডলারের দর ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ফলে দেশে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা সরবরাহ সঙ্কট দেখা দেয়।
পরিপ্রেক্ষিতে ডলার সরবরাহে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়। অস্থির বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবু কাজ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত অভিযানে নামে তারা। এতে সফলতা মেলে।