প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২২ ৩:১৬ : অপরাহ্ণ
নাটোরের বড়াইগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়েছেন। এ ঘটনায় স্ত্রী বিথী খাতুন মারা যাওয়ার ১২ ঘণ্টা পরে স্বামী ওমর ফারুকও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ফারুকের মরদেহ নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওমর ফারুক উপজেলার বনপাড়া কালিকাপুর এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং বিথী খাতুন লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পানঘাটা গ্রামের বাছের উদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশ স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে ৯ টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার হালদার পাড়া ভাড়া বাসায় ফারুক-বিথী দম্পতী একসঙ্গে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে বাবার বাড়িতে যায়। সেখানে তারা মাটিতে পড়ে গেলে পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালে নেয়ার পথে স্ত্রী বিথীর মৃত্যু হয়। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী ফারুক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে শুক্রবার ( ২৬ আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে তিনিও মৃত্যুর গলে ঢলে পড়েন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, ফারুকের দুটি সংসার। সে তার ছোট স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বাসায় ভাড়া থাকতো। সেখানে তারা একসঙ্গে গ্যাস ট্যাবলেট খেলে তাদের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে তারা দুজনেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।