প্রকাশ: ২৪ আগস্ট, ২০২২ ৩:৪৪ : অপরাহ্ণ
মায়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল ৮ বছরের মেয়ে। এরপর ‘শাস্তি’ হিসেবে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে মায়ের প্রেমিক। এরপর হত্যা করে পাথর দিয়ে মুখ বিকৃত করে দেয়া হয়। যাতে তাকে শনাক্ত না করা যায়।
এমন রোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাদশা নামের ৩৬ বছর বয়সী এক কসাই। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এই ঘটনা ঘটেছে। এমন নৃশংস ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের পর বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও শিশু মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে গত ১৮ আগস্ট রাজঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে এক শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। পোশাক দেখে দেহ শনাক্ত করেন তার বাবা-মা। ময়নাতদন্ত করে জানা যায়, ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তাকে।
এরপরই দিল্লি নারী কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল এই ঘটনার বিশদ তদন্তের দাবি জানান। তখন শহরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ৫০ জন পুলিশকর্মীকে। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বুঝতে পারে, বাদশা ওরফে রিজওয়ানই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাদশা জানান, একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর হত্যা করে পাথর দিয়ে মুখ থেঁতলে দেন। যাতে কেউ চিনতে না পারে। পুরো ঘটনায় মায়ের ভূমিকা আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।