প্রকাশ: ২২ আগস্ট, ২০২২ ৪:২৫ : অপরাহ্ণ
প্রায় দুই মাস আগে স্বামীর মৃত্যু হয়। সবাই ভেবেছিলেন তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটে বেরিয়ে এলো আসল সত্য। দুই প্রেমিকের সহায়তায় নিজের ৫০ বছর বয়সী স্বামীকে হত্যা করেছেন আহমেদুন্নিসা বেগম।
পুরো বিষয়টা এতদিন লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিল। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই সব সত্য সামনে চলে আসে। এরপর আকবর আজমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। রোববার তার ময়নাতদন্তও করা হয়।
দ্য সিয়াসাত ডেইলি জানিয়েছে, এমন হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা জেলায়। গত ২৩ জুন মারা যান সরকারি কৌঁসুলি আজম। তার স্ত্রী ৩৬ বছর বয়সী আহমেদুন্নিসা সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, আজমের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আজমের প্রথম স্ত্রী প্রায় ১৫ বছর আগে মারা গেছেন। পরে ইয়ানামের বাসিন্দা আহমেদুন্নিসাকে বিয়ে করেন তিনি। এই দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।
মৃত্যুর কয়েক দিন আগে স্ত্রীকে নতুন মোবাইল ফোন কিনে দেন আজম। আর স্ত্রীর পুরোনো মোবাইল ফোন বাবাকে দেন তিনি। পরে ছেলের বউয়ের মোবাইল ফোন ঘেঁটে সন্দেহ হয় আজমের বাবার। সেখানেই তিনি দেখতে পান কিভাবে দুই যুবকের সহায়তায় ছেলেকে হত্যা করেছেন আহমেদুন্নিসা।
ওই দুই যুবক আজমের পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকতেন। একজনের নাম হচ্ছে রাজেশ জৈন, তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা। অপরজন মেডিকেল প্রতিনিধি। তার নাম কিরন। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আহমেদুন্নিসার।
পরে দুই প্রেমিকের সহায়তায় গত ২৩ জুন স্বামীর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান আহমেদুন্নিসা। এরপর আহমেদুন্নিসার সহায়তায় ঘুমন্ত আজমের নাকে ক্লোরোফর্ম মেশানো কাপড় চেপে ধরেন কিরন। আর ঘরের বাইরে নজর রাখেন রাজেশ। পরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধের কারণে আজমের মৃত্যু হয়।