প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২২ ৬:৩৩ : অপরাহ্ণ
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম আর ব্রয়লার মুরগি। ১০ টাকার ডিম ১৫ টাকায় আর দেড়শো টাকার ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকার ওপরে। চাহিদার তুলনায় ব্রয়লার মুরগি আর ডিমের উৎপাদন কমেছে ৪০ শতাংশ। তাই বাজারে রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়েছে পণ্য দুটির।
পোল্ট্রিশিল্প উদ্যোক্তার বলছেন, শুধু জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভূট্টা, সয়াবিনসহ সব খাদ্য উপকরনের। তাই টানা ক্ষতি পোষাতে না পেড়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খামারীদের অনেকেই সরে গেছেন খাতটি থেকে। এতে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন মাসে কমেছে ২ কোটি। কমেছে ডিমের উৎপাদনও। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মশিউর রহমান জানান, বর্তমানে ডজন প্রতি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা খামরিদের উৎপাদন খরচ পড়ে। একটা ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ে সাড়ে নয় টাকা।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, প্রয়োজনে বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে ডিম আর ব্রয়লার মুরগি।
তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, আমদানি করে নয় বরং দেশীয় শিল্পকে টেকসই করলেই কমানো সম্ভব ব্রয়লার ও ডিমের দাম। আর সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমবে বলে আশা পোল্ট্রি শিল্প উদ্যোক্তাদের।
বাংলাদেশ ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল আরেফিন জানান, যদি ডিম এবং মুরগির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে তাহলে কিছুদিনের মধ্যে দাম যা বেড়েছে তা আবার কমে যাবে।
গ্রামীণ অর্থনীতি নির্ভর এই খাতটিতে বিনিয়োগ কমপক্ষে ৪০ হাজার কোটি টাকা।