চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ , ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ১৫ আগস্ট, জাতির কলঙ্কময় দিন

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট, ২০২২ ১১:০৭ : পূর্বাহ্ণ

জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য কলঙ্কের কালিমা লেপে দেয় গোটা বাঙালি জাতির কপালে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর পালিয়ে থাকা খুনিদের মধ্যে দু’জনকে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।

তখনো ফোটেনি ভোরের আলো। ট্যাংক আর সাজোয়া যানের বিকট যান্ত্রিক শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজধানী। সময়টা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। হঠাৎই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের চারপাশ কেপে উঠে মুহুর্মুহু ব্রাশফায়ারের শব্দে।

সপরিবারে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মহানায়ক। একজন রাষ্ট্রপ্রধানের নিথর দেহ পড়ে থাকে নিজ বাসভবনের সিড়িতে।

যে মাটির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের সংগ্রাম, সেই মাটিতেই তার হত্যার বিচারকাজ শুরুই করা যায়নি পরের ২১টি বছরেও। বরং হত্যাকারীদের রেহাই দিতে হয়েছে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ যা পরে রূপ নেয় আইনে।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ঘটনাক্রমে পাকিস্তানিরা আমাদের মারতে পারেনি। আমাদের যারা শত্রু অ্যাপারেন্টলি তারা আমাদের মারতে পারেনি। কিন্তু আমাদের মেরেছে কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি। যেভাবেই হোক তাদেরকে ইনফ্লুয়েন্স করে, ডিভাইড করে, লোভ দেখিয়ে এটা করা হয়। আমরা দেখেছি পরবর্তী বেনিফিসিয়ারি সরকার এসে তাদেরকে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের কেউ কেউ ৭৫ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন এই বাংলারই প্রতিনিধি হিসেবে। অবশেষে ৯৬ তে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শেষে অভিযুক্ত ২০ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। ইতোমধ্যে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তবে এখনো বিভিন্ন দেশের পালিয়ে আছে ৫ খুনী। যাদের ১ জন যুক্তরাষ্ট্র ও ১ জন কানাডায়। বাকিদের ব্যাপারে পরিপূর্ণ তথ্য নেই সরকারের কাছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, আমার জানামতে অগ্রগতি আছে। দুই একটি রাষ্ট্র সম্মত হয়েছে খুনিদের হস্তান্তর করার জন্য। তবে এখনো আমাদের কাছে তারা তুলে দেয়নি। কুটনৈতিকভাবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

জাতির পিতা ও তার পরিবারকে হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের ফিরিয়ে দণ্ড কার্যকরে কিছুটা হলেও গ্লানি মুছবে বলেও মত এই নেতার।

Print Friendly and PDF