প্রকাশ: ১৩ আগস্ট, ২০২২ ৩:৪১ : অপরাহ্ণ
এবার দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করলো বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ডলারের দাম বেড়ে আমদানি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বুধবার (১০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন হয়েছে। এতে চিনিতে শুল্কের পরিমাণও বেড়ে গেছে। সার্বিক বিবেচনায় ভোগ্যপণ্যটি দর বাড়ানো দরকার।
এতে জানানো হয়, সাধারণত দেরিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিয়ে ঋণপত্র খুলে থাকে চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো। তবে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে। এতে বিপুল লোকসান হচ্ছে।
ঋণপত্র খোলার সময় ডলারের বিনিময় হার ছিল সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা। কিন্তু এখন সেসব এলসির মূল্য পরিশোধে ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি নিচ্ছে ১১৫ টাকা।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আগে প্রতি টন চিনি আমদানিতে শুল্ক ছিল সর্বোচ্চ ২৩ হাজার টাকা। এখন দিতে হচ্ছে প্রায় ২৯ হাজার টাকা। তাতে মূল্য পরিশোধনের পর প্রতি টন চিনির মিলগেট দাম দাঁড়াচ্ছে কমপক্ষে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে যার মূল্য প্রায় ৭৯ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
এছাড়া প্রতি মণ চিনির মিলগেট মূল্য দাঁড়াচ্ছে অন্তত ৩ হাজার ৮৮৮ টাকা। কিন্তু নির্ধারিত রয়েছে ২ হাজার ৯২০ টাকা। এ পরিস্থিতিতে দাম না বাড়ালে কারখানাগুলো ‘দেউলিয়া’ হয়ে যাবে।
একই সঙ্গে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারণ, পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ এবং আমদানি শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।