প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২২ ১২:১৪ : অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এতটা অস্থিরতা দেখেনি ইউরোপবাসী। শুধু গ্যাস সরবরাহ আংশিক বন্ধ করেছে রাশিয়া, তাতেই ত্রাহি অবস্থা ইউরোপজুড়ে। সব মিলিয়ে মাথায় ঘাম কপালে মুছেও মিলছেনা সমাধান।
পুরো ইউরোপের ৪০ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়া। এ দিয়ে ইউরোপের ২৭ দেশ নিজেদের রসদ যোগাত। কিন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধ পাল্টে দিয়েছে সব হিসেব। ফলাফল, বিশ্বযুদ্ধের শত্রুদেশ জার্মানি দখল যেন আবার ফিরে এলো মস্কোর হাতে। জ্বালানি সংকটে হিসেবের খাতা খোলার আগেই নতুন করে ৬% পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াতে চলেছ বার্লিন। শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধনে ব্যবহৃত নানা স্থাপনার সাজসজ্জা বন্ধ রাখার পাশাপাশি সুইমিং পুল ও সরকারি নানা কেন্দ্রে গরম পানির গোসল বন্ধ ঘোষণা করেছে। দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে দানিয়ুব তীরের দেশটি।
এদিকে ধাক্কা লেগেছে সিন নদীর দেশ ফ্রান্সে। দোকানে দরজা বন্ধ রেখে এয়ারকন্ডিশন ব্যবহার না হলে সাড়ে ৭শ ইউরো জরিমানা।উচ্চাভিলাসী ফরাসীদের তাই মনে সুখ নেই। প্রায় একই দশা গ্রিসেরও। আর্থিক সংকট কাটিয়ে এক যুগ পার না হতেই দেশটিতে যুদ্ধের ছায়া। ফলাফল, সৌদি আরবের দুয়ারে জ্বালানির প্রস্তাবনা নিয়ে এথেন্স।
যে শহরে সন্ধ্যার পর আড্ডা-গানে মুখরিত হতো সে ইতালিতে সূর্য্য ডুবলেই সব কর্মকান্ড বন্ধ। সৌন্দর্য্য বর্ধনের স্থাপনা পরিণত হয়েছে বিলাসীতায়। তাই, বন্ধ থাকবে আলোকসজ্জা। গরমকালে এসি ১৯ ও শীতকালে ২৭ ডিগ্রির মধ্যে রাখার নির্দেশ সার্জিও মাতারেলা সরকারের।
বছরের শেষে ঠান্ডা মৌসুম, তাই পিপিলিকার মতো চলছে সঞ্চয়ের প্রস্তুতি। অন্তত, প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা বাস্তবে প্রয়োগ করে জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টায় ইউরোপ। বাবা ইয়াগার থাবা থেকে বাঁচতে।