চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবহন ভাড়া কত বাড়তে পারে, ধারণা দিল মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২২ ৫:৫৭ : অপরাহ্ণ

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতি কিলোমিটারে বাস ও লঞ্চ ভাড়া কত বাড়তে পারে, এর একটি ধারণা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৬ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়টি এ বিষয়ে ধারণা দেয়। জানিয়েছে, প্রতি কিলোমিটারে বাস ভাড়া সর্বোচ্চ ২৯ পয়সা আর লঞ্চে ৪২ পয়সা বাড়তে পারে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে ৫২ আসনের দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে একজন যাত্রীর ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সা। ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর প্রতি কিলোমিটারে ২৯ পয়সা বেড়ে এই ভাড়া হবে ২ টাকার একটু বেশি। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ।

আর মহানগর এলাকায় বর্তমানে ৫২ আসনের বাসে প্রতি কিলোমিটারে একজন যাত্রীর ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সা। যা প্রতি কিলোমিটারে ২৮ পয়সা বাড়লে নতুন ভাড়া হবে ২ টাকা ৪৩ পয়সা। তাতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এদিকে লঞ্চে একজন যাত্রীর বর্তমান ভাড়া ২ টাকা ১৯ পয়সা। প্রতি কিলোমিটারে ৪২ পয়সা বাড়ানো হলে নতুন ভাড়া হবে ২ টাকা ৬২ পয়সা। তাতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মূল্যবৃদ্ধির এ ঘোষণা আসে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি বা ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

এর প্রভাবে দেশব্যাপী বিপাকে পড়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। যার প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই জ্বালানিতে বাড়তি মূল্য কার্যকর হয়েছে। এতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে পরিবহন সঙ্কট। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকার পাশাপাশি অভিযোগ আছে বাড়তি ভাড়া নেয়ারও। শনিবার সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিস ও স্কুলগামীরা।

Print Friendly and PDF