প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২২ ১২:১৯ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু ঘোষিত কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতাকর্মীরা।
রোববার রাত সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ চলে। নেতাকর্মীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই দাবি আদায় না হবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাদের এই অবরোধ চলবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপ ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সন্তুষ্ট না হয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে, পদপ্রাপ্ত সাহিল কবির নামে একজন নেতাকে মারধর করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। এছাড়া বিজয় গ্রুপের নেতা ইলিয়াসের কক্ষ ভাঙচুর করে।
রোববার (৩১ জুলাই) গভীর রাতে ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দুটি ইউনিটের কমিটির তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনটি।
এতে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্যের স্বাক্ষর রয়েছে।
চবির কমিটিতে সভাপতি ছিলেন রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সাথে ৬৯ জন সহ-সভাপতি, ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ এই কমিটি অবৈধ দাবি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রধান ফটক আটকে দেওয়ায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো শিক্ষক বাস ও শাটল ট্রেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়