চট্টগ্রাম, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ , ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাইগারদের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করবে বিসিবি

প্রকাশ: ২২ জুলাই, ২০২২ ৪:৫৪ : অপরাহ্ণ

আগামী ২০২৩-২০২৭ সার্কেলে ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) ব্যস্ত সূচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে খেলোয়াড়দের রোটেশন নীতি গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই চার বছরে ১৪৪টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে কেবলমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাদের ম্যাচ সংখ্যা ১৪৬। ঠাসা সূচি খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে দুর্বল করে দেয়। যার সর্বশেষ শিকার ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান বেন স্টোস। শরীরকে বিশ্রাম দিতে ইংলিশ টেস্ট দলের এই অধিনায়ক ইতোমধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।

অবশ্য ব্যাপক ম্যাচ খেলার অভ্যাস এখনো গড়ে উঠেনি বাংলাদেশের। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের ইনজুরির শঙ্কা রয়েছে। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটি মোকাবিলা করা টাইগারদের জন্য কঠিন হবে।

কয়েক বছর ধরে বড় দলগুলো তিন ফর্মেটের আলাদা দল গঠনে জোর দিচ্ছে। ব্যস্ত সূচিতে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়ার লক্ষ্যে রোটেশন পদ্ধতিও অনুসরণ করছে তারা। আসলে বড় দলগুলো কখনো কম গুরুত্বের ম্যাচে তাদের গুরুত্বপূর্ন খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিচ্ছে । খেলোয়াড়দের আগ্রহকে মূল্যায়ন করে বোর্ড।

কিন্তু বাংলাদেশ দলে এখনো এই ধরনের সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি। মূলত এতটা বিলাসি উদ্যেগ গ্রহণ করার সামর্থ্যও দরকার। এমনকি সামর্থ্য থাকা সত্বেও সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে চায় না তারা। উদাহারণ হিসেবে বলা যায় জিম্বাবুয়ে সফরে পুর্ন শক্তির দলই পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ জিম্বাবুয়ের যে সামর্থ্য, তাতে দ্বিতীয় সারির দলই তাদের মোকাবেলার জন্য যথেষ্ঠ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকালে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে অতিরিক্ত খেলোয়াড়দের সামর্থ্য যাচাই করতে পারতো বাংলাদেশ। কারণ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওই সিরিজটি আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ ছিল না। তাছাড়া আগের দুই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে সিরিজও নিশ্চিত করে নিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু এতে রাজি হয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ইঙ্গিত দিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোটেশন নীতির সিদ্ধান্ত গ্রহনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সবধরনের পন্থা অবলম্বন করা হবে।

তিনি বলেন,‘ এমন ব্যস্ত সুচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুধু খেলোয়াড় নয়, কর্মকর্তাদেরও হিমশিম খেতে হবে। এফটিপি চূড়ান্ত হলে আমরা রোডম্যাপ তৈরি করতে বসব। এ বিষয়ে একটি ব্যাপক পরিকল্পনার প্রয়োজন। পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করতে পারি সেটি আমাদের বুঝতে হবে।

Print Friendly and PDF