চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ , ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নকল ঠেকাতে নারীদের অন্তর্বাস খোলার অভিযোগ, কেরালা জুড়ে হইচই

প্রকাশ: ১৯ জুলাই, ২০২২ ১২:৩৮ : অপরাহ্ণ

নকল ঠেকাতে নারীদের অন্তর্বাস খোলার অভিযোগ, কেরালা জুড়ে হইচই

মেডিকেল পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে তৎপর কর্তৃপক্ষ। ফলে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের সময় তল্লাশির নামে যা ঘটল তাতে কার্যত হেনস্থা হতে হল এক ছাত্রীকে। রোববার ওই পরীক্ষা দিতে গেলে ছাত্রীকে তার অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়। এ ঘটনার পর ওই পরীক্ষার্থীর বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। খবর এনডিটিভি

পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রীর অন্তর্বাসে ধাতব হুক থাকায় তাকে তা খুলতে বলা হয়। হলে ঢোকার সময় এ ঘটনা ঘটে। ভারতের কেরালার একটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটলে পুরো রাজ্যজুড়ে হটচই শুরু হয়।

পরীক্ষা’র আগে হলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মহিলা কর্মীরা ওই ছাত্রীকে বলেন, একেবারে অন্তর্বাস খুলে ফেলতে। এতে ওই শিক্ষার্থী বাধা দিলে তাকে পরীক্ষার হলে বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন কর্মীরা। শিক্ষার্থীর বাবার করা অভিযোগ অনুযায়ী ওই ছাত্রীকে বলা হয় তোমার কাছে ভবিষ্যৎ বড় নাকি তোমার অন্তর্বাস। সময় নষ্ট না করে দ্রুত তা খুলে ফেল।

আর এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিতর্ক। এই বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরই দায় এড়াতে চাইছে মার্থোমা ইন্সটিটিউট অফ এনফোর্মেশন এন্ড টেকনোলজি। ওই প্রতিষ্ঠানেই ছিল পরীক্ষা কেন্দ্রটি।

কোল্লামের পুলিশ সুপার কে বি রবি বলেন, শিক্ষার্থীর বাবা-মা অভিযোগ জানিয়েছেন। শুধু তারা নয় আরও অনেক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক একই অভিযোগ করেছেন। একজন নয়, একাধিক ছাত্রীকে এভাবে অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে।

ইতিমধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দোষ প্রমাণিত হলে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না বলেও স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানান, তার মেয়েকে বলা হয়েছিল মেটাল ডিটেক্টরে হুক ধরা পড়ছে। তাই সেগুলো খুলে ফেলতে হবে। ৯০ শতাংশ ছাত্রীর সঙ্গেই এমন জঘন্য অপরাধ ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তার দাবি, এর ফলে মেয়ের শান্তি এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি। ফলে এর দায় কে নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশকে লেখা চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, একটি ঘরে একাধিক অন্তর্বাস পড়ে আছে। এই ঘটনা একেবারে নিচ মানসিকতার পরিচয় দেয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Print Friendly and PDF