প্রকাশ: ৭ জুলাই, ২০২২ ১:২৬ : অপরাহ্ণ
মহা অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এত বড় সংকটে পড়েনি দেশটি। এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি কেনার ক্ষমতাও হারিয়েছে দেশটি।
এদিকে জ্বালানির অভাবে রীতিমতো থমকে আছে গোটা দেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে যোগাযোগ সবই ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থায় জ্বালানি কিনতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার বিষয়টি নিজেই টুইটারে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। এতে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে একটি দারুণ ফোনালাপ হয়েছে। অতীতে তিনি যেভাবে শ্রীলঙ্কার পাশে থেকেছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি আমি। পাশাপাশি দেশের চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে জ্বালানি আমদানিতে তার সহায়তা চেয়েছি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। তেল কিনতে গিয়ে ফরেন কারেন্সির রিজার্ভ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোর।
শ্রীলঙ্কার সংকটও একই। ডলারের অভাবে তারা জ্বালানি স্বল্পতায় ভুগছে। সরকার বাধ্য হচ্ছে স্কুল বন্ধ করে দিতে। বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদনও কমে আসছে দেশের। সরকার জানিয়েছে, কোনো দেশই আর শ্রীলঙ্কাকে জ্বালানি সরবরাহ করতে চায় না।
এরকম অবস্থায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। আমদানি বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে দেশটির সরকার। রাজাপাকসে বলেন, পর্যটন, বাণিজ্য এবং সংস্কৃতি বিনিময়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে রাশিয়া-শ্রীলঙ্কা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে পুতিনের সঙ্গে আমি একমত হয়েছি।
এ ছাড়া মস্কো ও কলম্বোর মধ্যে ফ্লাইট চালু করতে তিনি পুতিনের প্রতি আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। অর্থ পরিশোধ নিয়ে বিতর্কের কারণে গত মাসে শ্রীলঙ্কার আদালত রাশিয়ার একটি বিমান আটকে দেয়। এর পর থেকে রাশিয়ার বিমানবাহিনী এরোফ্লটের বিমান চলাচল বাতিল করে দেয়া হয়।
এমন অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। পুতিন যদি মুখ ফিরে চান তথা শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি বিক্রির অনুমতি দেন বা প্রক্রিয়া শুরু করেন তবেই বর্তমান সংকট থেকে খানিকটা উতরে যাবে দেশটি।